
অনেককেই দেখা যায় ভিসা থাকা অবস্থায় ও ভারতীয় ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়। সাধারণত স্থলপথের ইমিগ্রেশনে বেশ কড়াকড়ি দেখা যায়। ভারতের ইমিগ্রেশন পার করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা এখানে দেয়ার চেস্টা করছি।
ভারত ইমিগ্রেশনে ডলার টাকা রুপী কোনটা সাথে রাখতে পারবেন আর কোনটা পারবেন না
ভারতে প্রবেশ করার সময় অনেকেই শুধুমাত্র সঙ্গে বাংলাদেশি টাকা রাখেন। এই ভুলটা অনেকেই করে থাকেন। আপনি যখন ভারতে প্রবেশ করছেন আইনত আপনি শুধুমাত্র সেখানে খরচ করার জন্য সাথে ডলার রাখতে পারবেন।
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন অনেকেই তো শুধুমাত্র টাকা নিয়ে ভারতে যায়। আসলে এ ব্যাপারে ভারতের ইমিগ্রেশন অতটা কঠিন করে দেখেনা।
এটা ঠিক অনেকেই বাংলাদেশি টাকা সাথে করে নিয়ে যায়। কিন্তু আইন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার সাথে ডলার থাকতে হবে। কিংবা আপনার যদি ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে।
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আপনার কাছে ডলার দেখতে চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ব্যাংকের কার্ড দেখাতে পারেন।
আমাদের দেশে অনেকের কাছে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকেনা। সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ ডলার সাথে রাখবেন।
অনেকে বাংলাদেশি টাকা নিয়ে যান। সেটা সঠিক কিংবা প্যান্টের পকেটে ব্যাগ এ রাখতে পারেন।
অনেকে গ্রুপে একসাথে ভ্রমণে বের হন।
গ্রুপের সবাই মিলে কিছু বলার থাকতে পারেন।
ইমিগ্রেশনে অনেককেই দেখেছি ডলার সাথে না রাখার কারণে পরবর্তীতে জরিমানা দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে হয়েছে।
আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিন বন্ধু একবার কলকাতায় যাচ্ছিলাম।
আমাদের তিন জনের কাছেই কোন ডলার ছিলনা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ডলার দেখাতে বলল। আমার সাথে ক্রেডিট কার্ড ছিল। সেটা দেখিয়ে বললাম কার্ডে ডলার এনডোর্স করা আছে। ভারতে গিয়ে যেকোনো এটিএম বুথ থেকে ভারতীয় রুপি তুলতে পারব। আমাদের তিনজনের টাকা আমার একাউন্টে ডলার করা আছে। আমাদেরকে আর কোন ঝামেলা করে নাই।
আমার ঠিক পিছনের আরেক ব্যক্তিকে একই রকম ডলার দেখতে চাইল। ওই ব্যক্তির কাছে ডলার ছিল না। পরে তাকে 1000 টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন ফর্ম:
ভারতীয় ইমিগ্রেশন ফরম ফিলাপ করার সময় একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভারতের যে জায়গায় আপনি যাচ্ছেন সেখানে কোন হোটেলে কিংবা কোন বাড়িতে অবস্থান করবেন তা ইমিগ্রেশন ফরমে লিখতে হয়। অনেকেরই এ ব্যাপারে আইডিয়া থাকেনা। তাই বাংলাদেশ থেকে যাবার সময় যেকোনো হোটেলের অ্যাড্রেস সাথে নিয়ে নিন।
ভিসার ধরন অনুযায়ী উত্তর দিন:
ভারতের দুই ধরনের ভিসা অনেকে নিয়ে থাকেন। কেউ কেউ টুরিস্ট ভিসা আবার কেউ মেডিকেল ভিসা নিয়ে থাকেন। আপনি যদি মেডিকেল ভিসা নিয়ে থাকেন তাহলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা কোথায় যাবেন সেটা জিজ্ঞেস করবে, চাচা চাচ্ছেন সেটা জিজ্ঞেস করবে, ঘুরাঘুরির মতলব থাকলে সেটা কখনোই বলবেন না চিকিৎসা ভিসা থাকলে চিকিৎসার কথাই বলবেন।
যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাকেন কোন কারণে অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসা নেয়ার জন্য ভারত যাচ্ছেন তা বলবেন না। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কোনো কারণে চিকিৎসার জন্য ভারত গমনের ব্যাপারটা তারা নেগেটিভলি নেবে।
ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা থাকাকালীন সময় অনেকে ছবি তুলতে চান কিংবা ভিডিও করতে চান । ইমিগ্রেশনে ভিডিও কিংবা ছবি তোলার থেকে বিরত থাকুন।
একটা ব্যাপার অবশ্যই মনে রাখবেন, এম্বাসি ভিসা দেয়ার মানে এই না যে অবশ্যই আপনি ভারতে প্রবেশ করার অধিকার রাখেন। ইমিগ্রেশন অফিসার যেকোনো সময় আপনার ভিসা ক্যানসেল করার অধিকার রাখে। তাই ওভার কনফিডেন্ট হবেন না। যেখানে সেখানে তর্কে জড়াবেন না। কষ্ট হলও ঠান্ডা মাথায় মাথায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
বিস্তারিত ভ্রমণ পড়ুনঃ
ভারত ভ্রমনের ১ম দিন চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা শিয়ালদাহ
ভারত ভ্রমনের ২য় দিন ফেয়ারলিপ্লেস, কলকাতা মিউজিয়াম এবং ট্রেনে দার্জেলিং এর পথে যাত্রা